Top 5 This Week

করিডর নিয়ে সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সরকারেরই হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান

বিডিটাইম ডেস্ক

রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একটি নির্বাচিত সরকারেরই রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, নইলে তা ‘বুমেরাং’ হতে পারে।

বুধবার (২১ মে) ঢাকা সেনানিবাসে অফিসার্স অ্যাড্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ঢাকায় অবস্থানরত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা সরাসরি এবং ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন। সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে নির্বাচন, করিডর, আইনশৃঙ্খলা, বন্দর ইস্যু, সংস্কার ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা—এই সব বিষয়েই মত দেন।

করিডর প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, “রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডর ইস্যুতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। এমন সিদ্ধান্ত অবশ্যই বৈধ প্রক্রিয়ায়, একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই যা করার করতে হবে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, “আমার অবস্থান আগের মতোই—দেশের ভবিষ্যৎ পথ নির্ধারণের অধিকার জনগণের, আর তা নির্ধারিত হবে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই। সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ থাকবে এবং নির্বাচনেও সেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি, সহযোগিতা করে যাব।”

‘মব ভায়োলেন্স’ বা সংঘবদ্ধ বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে জেনারেল ওয়াকার বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী এখন আরও কঠোর। জনতার নামে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা বা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।”

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের কাছে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে স্থানীয় জনগণ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত নেওয়া জরুরি। রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমেই এ ধরনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসা উচিত।”

সংস্কার নিয়ে জানতে চাইলে সেনাপ্রধান বলেন, “সংস্কার কী হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে—সে বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। কেউ এ বিষয়ে আমার সঙ্গে পরামর্শও করেনি।”

আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে সহযোগিতার নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, “মানুষ যেন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

সবশেষে সেনাপ্রধান বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনো এমন কোনো কাজে যুক্ত হবে না, যা দেশের সার্বভৌমত্ব বা জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish