বিডিটাইম ডেস্ক
ঝুট ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় সশস্ত্র মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন ‘ছাত্রদল নেতা’ পরিচয়ধারী এনামুল শিকদার। পরে পুলিশ তাকে এবং তার এক সহযোগীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।
মঙ্গলবার (১৭জুন) সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার ফকিরা গ্রুপের কারখানা ‘সিএ নিটওয়্যার’-এর সামনে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, এনামুল নিজেকে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রদল নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ওই এলাকার আব্দুল বাতেন শিকদারের ছেলে।
জানা গেছে, ওই কারখানায় ঝুট ব্যবসা করেন জাহাঙ্গীর শিকদার ও বদরে আলম বাদল। সাব-কন্ট্রাক্টে ব্যবসা চালান মাহমুদুল হাসান নামে এক যুবক। সোমবার রাতে এনামুল টেলিফোনে তাকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবি করেন, টাকা দিতে হবে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লাহকে, না হলে ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন—এমন হুমকিও দেন।
পরদিন সকালেই এনামুল প্রায় ৩০-৪০ জন অনুসারীসহ লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে কারখানার সামনে হাজির হন। এসময় তিনি মাহমুদুল হাসানকে রাস্তায় পেয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় মাহমুদুল রক্ষা পেলেও তার স্বজন শামসুল আলম ও সাখাওয়াত হামলায় আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এনামুল ও তার সহযোগী সুমন মিয়াকে আটক করে।
এদিকে গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লাহ জানান, এনামুলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই এবং তিনি যুবদলের কেউ নন। বরং এ ধরনের কাজের জন্য পুলিশকে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানান তিনি।
জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ বলেন, “এনামুল ও সুমনকে আটক করা হয়েছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
মাহমুদুল হাসানের চাচাতো ভাই ফারহান হোসেন প্রধান বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।