বিডিটাইম ডেস্ক
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়ারকান্দি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পূর্বশত্রুতার জেরে রোববার (২৫ মে) বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং পাঁচজনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, গুরুতর আহত রাজিব হোসেন (৩৬), আবুল হোসেন (৫৫) এবং মনির হোসেন (৪৪) নামের তিনজনকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
মিটফোর্ড হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার সাজ্জাদ বলেন, সন্ধ্যার দিকে নয়ারকান্দি এলাকা থেকে নারীসহ পাঁচজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। তারা হলেন—মো. বাবু (৩০), মোজাম্মেল (৬৫), মোকলেস (৭০), ইব্রাহিম খান (৩২) এবং সুরাইয়া বানু (৩৫)। তাদের সবাইকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
আহতদের স্বজন মো. জাফর অভিযোগ করেন, “প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগপন্থিরা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার বাবা ও ভাইসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করায়। রোববার জামিনে মুক্ত হয়ে তারা বাসায় ফেরার পর একজন চুল কাটাতে গেলে হঠাৎ ১৫-২০ জন আওয়ামী সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। আমাদের একমাত্র দোষ, আমরা বিএনপি করি। পরিকল্পিতভাবে আমাদের পরিবারের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমার ভাবিসহ আটজন আহত হন।”
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, “হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে এসে প্রথমে মালেক দেওয়ানের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”