বিডিটাইম ডেস্ক
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের চার দিনের সফরে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে৩.৫ কোটি টাকা ।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস ছিলেন ডরচেষ্টার প্রেস্টিজ সুইট নামে হোটেলের একটি বিলাসবহুল কক্ষে। যার চার দিনের ভাড়া ছিল চব্বিশ হাজার একশো আশি ইউরো। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। দৈনিক হিসাবে কক্ষটির ভাড়া দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৫ পাউন্ড।
সফরসঙ্গীদের মধ্যে এক জন ধারণা করা হয় প্রধান উপদেষ্টার কন্যা দিনা আফরোজ ইউনুস। তিনি ছিলেন ডরচেষ্টার সুইট নামের আরেকটি অভিজাত কক্ষে, যার চার দিনের ভাড়া ছিল প্রায় ৩৩ লাখ টাকা।
হোটেল খরচের বিস্তারিত অনুযায়ী, ডরচেস্টারে বুক করা হয় ৩৭টি বিলাসবহুল কক্ষ, যার মোট খরচ ছিল ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ১৩৫ ইউরো যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩.২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে সস্তা ছিল চারটি Superior King Room, যার প্রতিটির চার দিনের ভাড়া ছিল ৮২৫ ইউরো। অনুষ্ঠানের জন্য একদিন Park Suite কক্ষ ভাড়া নেওয়া হয় যার মূল্য প্রায়২,০০০ পাউন্ড।
সফরের সময় চার রাতের খাবারের জন্য খরচ হয় ৬,৫০০ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০.৭৫ লাখ টাকা।
চলমান বিনিময় হারে (প্রতি পাউন্ডে ১৬৫.৪৪ টাকা), হোটেল, বিমান, খাবার ও আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে লন্ডন সফরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মোট ব্যয় প্রায় ৬ কোটি টাকা ছুঁয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ২,৮২০ ডলার। আর দুর্নীতির ধারণা সূচকে (CPI), বাংলাদেশ ছিল ১৮০ দেশের মধ্যে ১৫১তম।
সরকারি প্রতিনিধি দলের এমন উচ্চ ব্যয় দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই। জনগণের করের টাকায় বিলাসিতার এই চিত্র সামনে আসায় সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।