Top 5 This Week

বাকৃবিতে বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধন

বাকৃবি প্রতিনিধি,
সাম্প্রতিক সময়ে গাছ কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)  সংসদ।
রবিবার (১২ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক তারেক আবদুল্লাহ বিন আনোয়ারসহ ছাত্রইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত বিশ্বাস।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আজ সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। সারাদেশে যখন গাছের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে, ঠিক তখনই বাকৃবিতে ক্রমাগত বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। উন্নয়নের নামে গাছ কাটার এই সংস্কৃতি পরিবেশের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না। উন্নত পদ্ধতিতে গাছ না কেটেও ভবন নির্মাণ করা যায় কিংবা বিকল্প জায়গায় ভবন নির্মাণ করা যায়। কিন্তু তা না করে কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার পদ্ধতিকেই গ্রহণ করেছে। বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গাছ লাগানো হয় নি। আবার লাগানো হলেও তা যথাযথ পরিচর্যা করা হয়নি। অথচ গাছ কাটার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো বাছবিচার নেই।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক তারেক আবদুল্লাহ বিন আনোয়ার বলেন, গাছ না কেটে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতিতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং নতুন বৃক্ষরোপণ ও তাদের যথাযথ পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। যদি ভবিষ্যতেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের এই বৃক্ষনিধনের আত্মঘাতী কর্মসূচি থেকে সরে না আসে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাকৃবি ক্যাম্পাসে বড় বড় গাছ কাটার ঘটনা ঘটছে। অবকাঠামো নির্মাণের নামে এসব বৃক্ষ নিধনের ঘটনা ঘটেছে। গত ২ মে ভেটেরিনারি অনুষদ সংলগ্ন প্রাঙ্গণে প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি পুরোনো একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলা হয়। এছাড়াও প্রায় ২ বছর আগে প্রক্টর অফিসের সামনের মে ফ্লাওয়ার গাছ কাটা হয়। বেশ কিছুদিন পূর্বে তাপসী রাবেয়া হলের সামনেও গাছ কাটা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফার্স্ট গেইট থেকে ফসিল পর্যন্ত রাস্তাটির চারলেন উন্নীতকরণের প্রকল্পে এই রাস্তার ২ ধারের অনেক পুরোনো কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলা হয় এবং বড় বড় গাছ কাটার পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish