বিডিটাইম ডেস্ক:
দেশজুড়ে চলছে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বিভিন্ন অঙ্গনে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। ক্রীড়াঙ্গনও এর আওতামুক্ত নয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার নেতৃত্বস্থানীয়দের পদত্যাগ দাবি করেছে সাধারণ জনগণ এবং বিরোধীপক্ষ।
গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন সাবেক কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময় অনিয়ম-দুর্নীতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাজে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে বারবারই পার পেয়ে গেছেন সালাউদ্দিন।
কয়েকদিন আগে সালাউদ্দিন, নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মোর্শেদীর পদত্যাগের দাবি করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস নাম দিয়ে ভক্তদের একটি দল। শনিবার একই দাবিতে দাবিতে ‘সাবেক/বর্তমান বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল খেলোয়াড়-কর্মকর্তাবৃন্দ’–এর ব্যানারে সমাবেশ হয়েছে।
সেই সমাবেশে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার বাফুফের বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ আনলেন । তিনি বাফুফে ভবনের চারতলায় আবাসিক ক্যাম্পে মেয়েদের নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন! তার ভাষায়, বাফুফের চারতলা যেন ‘বন্দিশালা’।
ডালিয়া বলেন,
বাফুফে ভবনের চারতলায় মেয়েদের রাখা হয়েছে, এটা যেন একটা আয়নাঘর। মেয়েরা কী খাচ্ছে, জানতে দেওয়া দেওয়া হয় না। মেয়েদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। এই মেয়েরা একদিন এই ভবন থেকে বেরিয়ে হয়তো সত্যটা প্রকাশ করবে।
ডালিয়া আরও বলেন, ‘বাফুফের ক্যাম্পে থাকা এরা ছোট ছোট মেয়ে। আওয়াজ তুলতে ভয় পায়। এক মেয়ে বলেছিল, বারবার কেন পাঙাশ মাছ খাওয়ানো হয়? এটা বলার কারণে ওকে শাস্তি দেওয়া হয়। দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশ নারী ফুটবলের ভুল ইতিহাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সত্য ঢাকা যায় না। একদিন তা বেরিয়ে আসে।’
সালাউদ্দিন-কিরণের উদ্দেশ্যে ডালিয়া বলেন, ‘তারা বাফুফেতে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। পদ আঁকড়ে ধরে আছে। অবিলম্বে তাদের বিদায় নিতে হবে। এবার সময় এসেছে, যোগ্যদের সুযোগ দিতে হবে। মেয়েদের সব দলের সঙ্গে একজন ব্যক্তিকে (আমিরুল ইসলাম বাবু) বারবার ম্যানেজার করা হয়?’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাবেক খেলোয়াড়, সংগঠকসহ নারী ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২৫ থেকে ৩০ জন।