বিডিটাইম ডেস্ক
দেশের সব ধরনের জনপ্রতিনিধিদের দেশেই চিকিৎসা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা মনে করেন, এই দেশে তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। কেউ নির্বাচিত হলেই বিদেশে চিকিৎসা নিতে ছুটে যান। এটা বন্ধে আইন করা জরুরি।’
বুধবার (২১মে) বিকেলে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘যুবদের সংস্কার ভাবনা: কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি’ শীর্ষক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে রুমিন বলেন, ‘আমি জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। কোথাও ডাক্তার নেই, নার্স নেই, সরঞ্জাম নেই, ওষুধ নেই। এর মূল কারণ গলদ রাজনীতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শক্ত সিদ্ধান্তের পক্ষে। যেমনভাবে দ্বৈত নাগরিক হলে সংসদ সদস্য হওয়া যায় না, তেমনি আইন করে জনপ্রতিনিধিদের বাধ্য করতে হবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। বাঁচলে বাঁচবে, না বাঁচলে সিস্টেম পরিবর্তন হবে।’
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে রুমিন জানান, ‘আমি ও আমার পরিবার কখনো বিদেশে চিকিৎসা করাইনি। দেশের চিকিৎসা খাতে আমি ২৫ বছর ধরে সরাসরি যুক্ত। দেশে ভালো চিকিৎসা হয় না, এমন কথা বলা অন্যায়।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে জিডিপির এক শতাংশও ব্যয় করা হয় না। ডাক্তার-নার্স অপ্রতুল, সরঞ্জামের অভাব। তারপরও চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালানো হয়—হাসপাতালে কেউ মারা গেলেই ডাক্তারদের দোষারোপ করা হয়। অথচ আমরা আল্লাহর ওপর নির্ভর করি, কিন্তু এখানে ভাঙচুর করি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ডা. তাসনিম জারা, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের অধ্যাপক জাকির হোসেন ও অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ঢাবির অধ্যাপক রুমানা হক, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী প্রমুখ।