মো. সোলাইমান, বেরোবি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) চুরির ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের নিকট অভিযোগপত্র জমা দিয়েও সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক মাসে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে সর্বশেষ এই মাসেই কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি সাইকেল এবং অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং-৪ থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর আরেকটি সাইকেল চুরি হয়েছিল। প্রতিবারই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্র জমা দিলেও কার্যকর সমাধান মিলছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে কিছু চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও চোরকে ধরা সম্ভব হয়নি, যা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বাড়াচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান জানান, চোর ধরতে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে পুরস্কারের সুনির্দিষ্ট বিবরণ না দিলেও তিনি বলেন, “আজ থেকে মসজিদে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একজন আনসার সদস্য সেখানে মোতায়েন থাকবে।” তাঁর ধারণা, এ চুরির ঘটনার পেছনে একজনই মূল পরিকল্পনাকারী। তাকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। “সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত মেরামত করতে হবে এবং বহিরাগত টোকাইদের প্রবেশ রোধে কড়া নজরদারি প্রয়োজন,” বলে তারা জানান।
তারা আরও অভিযোগ করেন যে প্রশাসনের উদাসীনতা এবং প্রক্টর ও প্রভোস্টের গাফিলতির কারণেই অপরাধী শনাক্তকরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জোর দাবি—ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে এবং সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
বেরোবিতে চুরির এই ধারাবাহিক ঘটনা শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাই তুলে ধরছে না, বরং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে আরও সচেতনতা ও কঠোরতা প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।