বিডিটািইম ডেস্ক
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনি পদক্ষেপে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে তাদের সমর্থন জানিয়ে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার (১১মে) রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধন আনা হয়েছে, যা দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং তার সমর্থক গোষ্ঠীকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। একইসাথে, দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের পর বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এলডিপি, জেএসডি, এবি পার্টি, খেলাফত মজলিসসহ অন্যরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তারা আশা করেন, এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এটি জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আমরা আশা করি, দ্রুত এই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হবে।” জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, “এটি আমাদের দীর্ঘ দিনের সংগ্রামের ফল, তবে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আমাদের দাবি জানিয়ে যাব।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেন, “আওয়ামী লীগের বিচার বিলম্বিত হলে ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে, তাই দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন হওয়া উচিত।” এলডিপি সভাপতি ড. অলি আহমদ বলেন, “জনতার আন্দোলনের কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।”
এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকার এবং এর নেতাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন, হত্যা, গুম ও বিরোধী মতের উপর আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে। বিরোধী দলগুলো দাবি করছে, এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের জনগণের অধিকার রক্ষা হবে এবং ন্যায়বিচারের পথ সুগম হবে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে একটি সংশোধনীর মাধ্যমে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা যাবে, যা এই সংশোধনের মাধ্যমে কার্যকর হবে। পাশাপাশি, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই প্রোক্লেমেশন চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে, যা এই বিচার প্রক্রিয়ার কাঠামো নির্ধারণ করবে।