বিডিটাইম ডেস্ক
অনিয়মের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে তলব করেছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। আগামী ১ জুলাই তাকে হাজির হয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, গত ২৩ মার্চ, বিচারপতি আখতারুজ্জামানের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা ১২ বিচারপতির মধ্যে তিনি একজন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এখন তদন্ত করছে। এর অংশ হিসেবেই বিচারপতি আখতারুজ্জামানকে তলব করা হয়েছে।”
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ওই ১২ বিচারপতির মধ্যে একজন পদত্যাগ করেছেন, দুইজন স্থায়ী নিয়োগ পাননি এবং দুইজন ইতোমধ্যে অবসর নিয়েছেন। বাকি সাতজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এর মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং তিনজনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে।
এই সাতজন বিচারপতির মধ্যে একজন বিচারপতি খিজির হায়াত—এরই মধ্যে অপসারিত হয়েছেন। গত ১৮ মার্চ, রাষ্ট্রপতির আদেশে তাকে অপসারণ করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা জানান, ওই ১২ বিচারপতিকে কোনো বেঞ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তবে তখন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি, সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতিদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সে অনুসারে কাজ শুরু করবে।
এই ঘটনা দেশের বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন আইন বিশ্লেষকেরা।