বিডিটাইম ডেস্ক
আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা বাড়তে পারে। বর্তমানে বার্ষিক আড়াই লাখ টাকার পর আয় হলে আয়কর দিতে হয়। এই করমুক্ত সীমা আরও ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণের চিন্তাভাবনা চলছে।
সোমবার (১৯মে) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন ‘যমুনা’য় অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাজেটের শুল্ক ও কর সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সরকার নীতিগতভাবে করমুক্ত আয়সীমা বাড়াতে একমত হয়েছে এবং এনবিআরকে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কর নির্ধারণ নিয়েও আলোচনা হয়। বর্তমানে এলাকাভেদে ন্যূনতম কর তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা হলেও, তা統 করে সারা দেশে পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব এসেছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “আসন্ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কর দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করা এবং অনলাইন রিটার্ন জমাকে উৎসাহিত করা। বাজেট হবে করবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব।”
বর্তমানে দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন ১ কোটি ১১ লাখের বেশি। এর মধ্যে বছরে গড়ে ৪০ লাখ টিআইএনধারী আয়কর রিটার্ন দেন। করজালের পরিধি বাড়াতে এবং রিটার্ন প্রদানের হার বাড়াতে অনলাইনের সুযোগ আরও বিস্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নতুন কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি সহজ করতে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোম্পানির ক্ষেত্রে অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এদিকে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য টার্নওভার করের হার বাড়ানোর প্রস্তাবও উঠেছে। বর্তমানে বছরে ৩ কোটি টাকার বেশি টার্নওভার হলে ০.৬ শতাংশ কর দিতে হয়। এই হার বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার চিন্তাভাবনা চলছে।
ভ্যাট কাঠামোতেও কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফ্রিজ ও এয়ারকন্ডিশনের ওপর ভ্যাট হার ৭.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রেও মূল্য সংযোজনের ভিত্তিতে ভ্যাট হার বাড়ানো হতে পারে।