আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইস*রায়েলের বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি গুরুতর দুর্বলতা চিহ্নিত করার দাবি করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC)। সম্প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সময় তারা এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।
IRGC এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এমন একটি কৌশল প্রয়োগ করেছে যার ফলে ইসরায়েলের বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একে অপরকে ভুলবশত লক্ষ্য করে ফেলেছে। তারা জানায়, একযোগে বিভিন্ন দিক, উচ্চতা ও গতিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাঠিয়ে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ‘সনাক্তকরণ’ পর্যায়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে।
ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো:
ইসরায়েল সাধারণত তিনটি স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে:
Iron Dome (আয়রন ডোম): স্বল্প দূরত্বের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়। গাজা থেকে ছোড়া রকেট ঠেকাতে বিশেষভাবে কার্যকর।
David’s Sling (ডেভিড’স স্লিং): মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়। এটি লক্ষ্যবস্তুকে টার্মিনাল ফেজে আঘাত করে।
Arrow Systems (এরো-২ ও এরো-৩): দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে সক্ষম। এটি উপ-বায়ুমণ্ডল ও মহাকাশস্তরে হুমকি শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়।
ইরানের দাবি অনুযায়ী কৌশল:
IRGC’র বক্তব্য অনুযায়ী, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে, যা বিভিন্ন ধরনের প্রতিরক্ষা ইউনিটকে বিভ্রান্ত করে। ফলে কিছু ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো পরস্পরকে শত্রু ভেবে গুলি চালায়। তারা এটিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কাঠামোর একটি “মারাত্মক দুর্বলতা” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ বা দাবি সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি।