বিডিটাইম আন্তর্কাজাতিক ডেস্ক
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ বন্দুক হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন উত্তেজনা চরমে, তখন পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী পাকিস্তান সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে তাদের স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘আবদালি’।
শনিবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং এই পরীক্ষার ঘোষণা দেয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এবং ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে।
পাকিস্তান জানায়, ‘আইএনডিইউএস’ নামের সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবেই এই উৎক্ষেপণ চালানো হয়। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং নতুন প্রযুক্তিনির্ভর নেভিগেশনসহ ক্ষেপণাস্ত্রের নানা সক্ষমতা যাচাই করা।
এই পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। উৎক্ষেপণের সফলতায় রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এবং সেনাবাহিনী প্রধান পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল সৈন্য ও প্রযুক্তিবিদদের অভিনন্দন জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারতের দাবি, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে ইসলামাবাদ তা জোরালোভাবে অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
হামলার পর ভারত কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে করা সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে, আত্তারি সীমান্ত বন্দর বন্ধ করে এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে দেয়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা নিষিদ্ধ করে। পরে একই পদক্ষেপ নেয় ভারতও।
এমন উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা অঞ্চলজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার সেনাবাহিনীকে “প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা” দিয়েছেন বলেও বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।