বিডিটাইম ডেস্ক
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যে নিজেদের সামরিক প্রযুক্তি খাতে বৈপ্লবিক অগ্রগতি দেখিয়েছে ইউক্রেন। গত এক বছরে দেশটি ড্রোন উৎপাদনে অভাবনীয় ৯০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।ডিফেন্স এক্সপ্রেস, অ্যাটলান্টিক কাউন্সিল এবং জর্জটাউন সিকিউরিটি স্টাডিজ রিভিউ-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইউক্রেন যেখানে মাসে প্রায় ২০ হাজার ড্রোন তৈরি করছিল, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি এসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখের বেশি। অর্থাৎ, বার্ষিক উৎপাদন এখন প্রায় ২৪ লাখ (২.৪ মিলিয়ন) ড্রোন।
ড্রোন এখন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। গোয়েন্দা নজরদারি থেকে শুরু করে আত্মঘাতী হামলা পর্যন্ত নানাবিধ কৌশলে ড্রোন ব্যবহার করছে ইউক্রেন। বেশিরভাগ ড্রোন FPV (First Person View) প্রযুক্তি নির্ভর, যা কম খরচে তৈরি এবং লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম।
ড্রোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশটির ২০০টির বেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে উদার নীতিমালা ও লাইসেন্স সুবিধার ফলে এসব প্রতিষ্ঠান অল্প সময়েই বিপুল উৎপাদন সক্ষমতা গড়ে তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো সরাসরি অস্ত্র সরবরাহ না করলেও ড্রোন নির্মাণে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করে যাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার জানিয়েছে, ইউক্রেনকে আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে একটি “ড্রোন সুপারপাওয়ার” হিসেবে গড়ে তোলাই তাদের কৌশলগত লক্ষ্য।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনের এই অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তি উৎপাদনের সক্ষমতা যুদ্ধক্ষেত্রে শুধু রাশিয়ার জন্য নয়, ভবিষ্যতের সামরিক কৌশলেও বড় প্রভাব ফেলবে।