বিডিটাইম ডেস্ক
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার মধুপুর এলাকায় রাতের নিস্তব্ধতা চিরে গুলি করে হত্যা করা হলো টুটুল হোসেন নামর এক প্রবাস ফেরত যুবককে।
স্থানীয় মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত দেহ পড়ে ছিল নিথর, পাশে পড়ে থাকা শটগান, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গুলির খোসা ও একটি মোটরসাইকেল যেন সাক্ষ্য দিচ্ছিলো ঘটনার নির্মমতার।
নিহত টুটুল হোসেন (৪০) মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। বিদেশ বিভুঁইয়ে কাটানো বহু বছরের পর দেশে ফিরে ঘর বাঁধছিলেন আবারও—স্থানীয় বাজারে ছোট্ট একটা দোকান খুলেছিলেন, জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর চেষ্টা করছিলেন।
মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে মধুপুর পশুর হাটের পাশের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কিত স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা-পুলিশ। তারা লাশের পাশ থেকে একটি শটগান, কয়েকটি গুলি এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, টুটুলকে অন্য কোথাও হত্যা করে তার দেহ এখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, “লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তদন্ত চলছে এবং এ বিষয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।”
এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের এমন পরিণতি—নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্ন তুলছে স্থানীয়দের মধ্যে। কে বা কারা, কী কারণে টুটুলকে হত্যা করলো—সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা।