বিডিটাইম ডেস্ক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষক সমিতির ক্লাস বর্জন দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে রোববার থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা অটল রয়েছেন।
সোমবার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা থেকে সাত দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। শিক্ষক নেতারা জানান, এই সময়ের মধ্যে দোষী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, শিক্ষকরা শুধু শিক্ষা কার্যক্রম নয়, প্রশাসনিক কাজ থেকেও বিরত থাকবেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর কুয়েটে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর পর শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছেন। এর আগে উপাচার্যকে প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। তবে উপাচার্য প্রত্যাহারের পরও অচলাবস্থা কাটেনি।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে কুয়েটে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা। শিক্ষার্থীরা দ্রুত সমস্যা সমাধান করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ড. হযরত আলী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক করতে আশ্বাস দেন। দুপুরে শিক্ষার্থীরা এক চিঠির মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এদিকে সকাল ১১টায় কুয়েট শিক্ষক সমিতি প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করে। বৈঠক শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে অনেক শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও হেনস্তা করা হয়েছে। তাছাড়া ২৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দলের পক্ষপাতমূলক ভূমিকা শিক্ষক সমাজকে ক্ষুব্ধ করেছে।
শিক্ষক সমিতির পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে: ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সাইবারবুলিং ও সামাজিকভাবে হেনস্তার বিচার, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা বাস্তবায়ন, কুয়েটবিরোধী অপপ্রচারে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা। এদিকে বিকেলে উপাচার্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও কোনো সমাধান হয়নি বলে জানা গেছে।