যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(যবিপ্রবি) পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি ঘোষণা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছে যবিপ্রবিয়ানরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসসমূহ চলবে আরও এক সপ্তাহ।
এদিকে শিক্ষার্থীরা দশ রমজানের পর ক্লাস কার্যক্রম বন্ধের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করলে তা প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রমজানে পরিবার থেকে দূরে থাকা অনেক কষ্টসাধ্য। সাহরি ও রাতের খাবার অনেক সময়ে পাওয়া যায় না, ফলে না খেয়েই রোজা রাখতে হয়েছে।
এছাড়া রোজার মধ্যে ক্লাস টেস্ট, ল্যাব ফাইনালসহ বিভিন্ন একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া যাত্রাপথে ভিড় ও হয়রানি এড়াতে অনেক শিক্ষার্থীই আগাম টিকিট কেটে রেখেছেন। সবমিলিয়ে ছুটির আগেই ক্যাম্পাস ছাড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই ছুটে চলেছেন বাড়ির দিকে।
ছুটির আগেই বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সেফা খানম বলেন, পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষের সবথেকে প্রিয় শব্দটি হলো ”আনন্দ”। কেউবা সুখে থাকলে আনন্দ প্রকাশ করে, কেউবা কোনো আকাঙ্ক্ষার জিনিস পেয়ে গেলে আনন্দ প্রকাশ করে। আবার অনেকে প্রিয় মানুষকে কাছে পেলে আনন্দ প্রকাশ করে আত্মহারা হয়ে যায়। প্রিয়জন শব্দটা বলতেই আমরা বুঝি কাছের মানুষ। আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মানুষ আমার মা-বাবা। মায়ের কোল, বাবার মুখের হাসি একটা অন্যরকম অনুভূতি। এই অনুভূতিকে অনুভব করতে আমরা সবাই ছুটছি প্রিয়জনের কাছে। কতিপয় সুখের খোঁজে, আব্বু, আম্মু, ভাইবোনকে নিয়ে ঈদ উপভোগ করতে।
ক্যাম্পাস থেকে প্রথমবার ঈদে বাড়ি ফেরার অনুভূতি প্রকাশ করে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: রকিবুল হাসান বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার আনন্দ-অনুভূতি-আবেগ যেটাই বলি না কেনো লিখে প্রকাশ করা অসম্ভব। এ আনন্দের মাঝে রয়েছে বাড়ি ফেরার প্রবল ব্যাকুলতা। প্রত্যেকেই চাই পরিবারের সাথে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো কাটাতে। তবে ছাত্রজীবনে ঈদ ছাড়া দীর্ঘ সময়ের ছুটি পাওয়া বিরল। এজন্য গুনতে থাকি অপেক্ষার প্রহর কখন বাড়ি পৌঁছাবো, কখন মায়ের আঁচল-স্নেহ পাবো। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে যাক পুরো পৃথিবীতে।