বিডিটাইম ডেস্ক
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, চব্বিশ সালের গণ–অভ্যুত্থানের পর দেশের মানুষ যেমন আশাবাদী হয়েছিল, আজ তারা ততটাই হতাশ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শ্রমিকদের অধিকারবঞ্চনা এবং প্রশাসনে পুরোনো ‘আওয়ামী দোসরদের’ বহাল থাকার কারণে মানুষের সেই আশা আজ ধূসর হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘মহান মে দিবস ও প্রাসঙ্গিক বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।
মান্না বলেন, “অনেকে প্রধান উপদেষ্টাকে দ্রুত শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছেন, কেউ আবার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পক্ষে মত দিচ্ছেন। এসব বক্তব্য আবেগনির্ভর—নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছাড়া এগুলো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এখনো থানায় টাকা না দিলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ গ্রহণ করা হয় না। পুলিশ বাহিনী এখনো জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবেই কাজ করছে।”
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদেরও সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, “যাঁদের দিকে তাকিয়ে মানুষ তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধেও এখন নানা অভিযোগ। ঘুষের হার আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। প্রধান উপদেষ্টাও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনা করছেন না। অথচ তিনি উদ্যোগ নিলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হতো।”
তিনি আরও বলেন, “এখন দলমতের বিতর্ক নয়, প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সেটা ডিসেম্বরে হবে, না মার্চে—তা নিয়ে বিতর্ক নয়; বরং নির্বাচন কতটা স্বচ্ছ ও জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে, সেটাই মূল বিষয়।”
আলোচনা সভায় শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ বলেন, “সাত কোটি শ্রমিক জানেন না, বার্ধক্যে তাঁদের জীবন কীভাবে চলবে। তাঁদের জন্য চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। শ্রম সংস্কার কমিশন সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম, জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী (দীপু), সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। সভাটি সঞ্চালনা করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদির।