বিডিটাইম ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে কথিত শান্তির নামে ‘আব্রাহাম চুক্তিতে’গোলান হাইটস মালভূমি ফেরত না পেলে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা চুক্তি মানবেন না বলে ধারণা করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন, গোলান হাইটস ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে অঙ্গীকার না থাকলে আহমাদ আল-শারা কোনো আলোচনাই কার্যকরভাবে এগোতে দেবেন না।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম Ynetnews এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানে আভাস মিলেছে—শারা প্রশাসন গোলান হাইটসকে সিরিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে ফেরত পাওয়াকে আলোচনার প্রধান শর্ত হিসেবে তুলে ধরেছে।
এই প্রেক্ষাপটে, ইসরায়েলের কৌশলগত মন্ত্রী রন ডারমার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। সফরের উদ্দেশ্য ধরা হয়েছে দুইটি: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে সিরিয়ার সঙ্গে আলোচনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ, মধ্যপ্রাচ্যে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র আওতা আরও সম্প্রসারণ।
Ynetnews জানায়, একজন সিরীয় কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন—সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে গোপন পরোক্ষ আলোচনা চলছে। এই আলোচনা আরব ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
সিরিয়া বলছে, চুক্তির ভিত্তি হতে হবে দুটি শর্তে: ইসরায়েল যেন সিরীয় ভূখণ্ডে বিমান হামলা বন্ধ করে, ১৯৭৪ সালের পুরনো সীমান্ত চুক্তিতে ফিরে যায়। অন্যদিকে, ইসরায়েল তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে চায়: একটি ‘নিরাপদ বাফার জোন’, যাতে গোলান সীমান্তে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত রাখা যায়।
উল্লেখ্য, গোলান হাইটস অঞ্চলটি ১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের দখলে চলে যায়। পরবর্তীতে এটি একতরফাভাবে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনও অঞ্চলটিকে সিরিয়ার দখলকৃত ভূখণ্ড হিসেবেই দেখে।
সাম্প্রতিক কূটনৈতিক তৎপরতা এবং আঞ্চলিক মেরুকরণে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে জোট ও সমঝোতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে গোলান হাইটস ইস্যু পুরনো ক্ষত মনে করিয়ে দিচ্ছে—যেখানে বাস্তবতা ও আবেগের সংঘর্ষে আপস খুঁজে পাওয়া এখনো কঠিন।