বিডিটাইম ডেস্ক
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ছবি তুলে বিতর্কের মুখে পড়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। ছবি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
এরপর নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ক্ষমা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন ইশরাক, যেখানে তিনি দাবি করেন, “বিতর্কিত চঞ্চল চৌধুরীকে আমি চিনতাম না।”* কিন্তু এই মন্তব্যেই আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা।
গত শনিবার অনুষ্ঠিত বিআইএফএ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইশরাক হোসেন। হাস্যোজ্জ্বল সেই ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় বিতর্ক। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, সরকারবিরোধী অবস্থানে থাকা একজন রাজনীতিক কীভাবে এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তুলতে পারেন, যাকে তারা “সরকারঘেঁষা” বা বিতর্কিত বলে মনে করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে ইশরাক লেখেন, “অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলাম। কে কে থাকবেন, বা কাকে পুরস্কার দিতে হবে তা জানতাম না। সেই অনুষ্ঠানে একজন অতি বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে আমার একটি ছবি ওঠে, যাকে আমি চিনতাম না এবং যার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহালও ছিলাম না।”
তিনি আরও লেখেন, “২০১৫ সাল থেকে দেশের বাইরে থাকায় অনেক ঘটনা আমার জানা হয়নি। আমি দুঃখিত, ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবো।”
‘চঞ্চলকে না চেনা যায়?’—তীব্র সমালোচনা নেটিজেনদের ইশরাকের এই ব্যাখ্যা সামাজিক মাধ্যমে আরও ক্ষোভের জন্ম দেয়। নেটিজেনদের মতে, চঞ্চল চৌধুরী দেশের একজন জনপ্রিয় ও বহুল আলোচিত অভিনেতা—তাকে চিনেন না বলা কেবল অজুহাত নয়, বরং অদূরদর্শিতার পরিচয়।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন,“চঞ্চল চৌধুরীকে না চিনে আপনি রাজনীতি করেন কীভাবে? জনগণের সঙ্গে সংযোগ কীভাবে রাখেন?”
অপরজন মন্তব্য করেন,“জোকস অব দ্য ইয়ার! একজন অভিনেতার সঙ্গে ছবি তুলে এখন বলছেন, ‘চিনি না’। মানুষ বোকা না।”
কবি সৈয়দ জামিল রসিকতা করে লেখেন,“ইশরাক ভাই, আর সার্কাস দেখায়েন না। সুশীল বিএনপি অলরেডি আপনার ওপর বিরক্ত।”
আরেকজন লেখেন,“আপনি মরহুম সাদেক হোসেন খোকার সন্তান হয়ে কীভাবে এমন হাস্যকর বক্তব্য দেন?”
সমর্থকদের একাংশ ইশরাকের ব্যাখ্যাকে অগ্রহণযোগ্য বলেই মনে করছেন। একজন সাবেক মেয়রপ্রার্থীর এমন অসচেতনতা ও দায় এড়ানো বক্তব্য অনেককেই হতাশ করেছে।
অনেকে মনে করছেন, এই ঘটনাটি শুধু একটি ছবি তোলা নয়, বরং রাজনীতিকের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও দলীয় অবস্থান বোঝার ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।