বিডিটাইম ডেস্ক
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের চার নেতার নামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আইনি নোটিশ পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি। কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই অভিযোগ জানান।
গত সোমবার ছাত্রশিবিরের আইন সম্পাদক আরমান হোসেনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক ও সম্পাদক সাকিবুর রনিকে আইনি নোটিশ পাঠান।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়, ২৯ মে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা ও অপপ্রচারের মাধ্যমে তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, “আপনারা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য মিডিয়ায় প্রকাশ করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্মানহানি করছেন।” একই সাথে গত ৩১ মে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেলের যৌথ বিবৃতিতে এই অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
তবে ছাত্র ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতা প্রত্যাশা করেছিল, সব পক্ষ ভিন্নমত সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও সহাবস্থানের অলিখিত বিধান মেনে চলবে। রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রকাশ পাবে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা হামলার মাধ্যমে সেই বিধান ভঙ্গ করেছে।’
ছাত্র ফেডারেশন এই আইনি নোটিশকে ‘রাজনৈতিক হয়রানি’ বলে অভিহিত করেছে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষায় সকল পক্ষের সহনশীলতার আহ্বান জানিয়েছে।