বিডিটাইম ডেস্ক
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর কেউ যুদ্ধাপরাধ করেনি—এমন দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ড কলেজের সেন্টার ফর এক্সপেরিমেন্টাল হিউম্যানিটিজের ভিজিটিং অধ্যাপক ফাহমিদুল হক।
মঙ্গলবার (২৭ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের ড্রাগ খাইয়ে পাকিস্তানি মিলিটারির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল! জামায়াতে ইসলামীর কেউ যুদ্ধাপরাধ করেনি।”
পোস্টটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। একজন ব্যবহারকারী, তাইফ আহমেদ, মন্তব্য করেন, “যুদ্ধাপরাধ প্রমাণে এতো এতো মিথ্যা সাক্ষ্যের বিষয়টিও নিশ্চয়ই ড্রাগের কুপ্রভাব?”
এদিকে, একইদিনে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।
বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি আপিল বিভাগে খালাস পেলেন।
জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “এই মামলার আগের রায় দিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার রীতিনীতি পরিবর্তন করা হয়েছিল, যা ছিল একটি বড় ভুল। কোনো সুনির্দিষ্ট মূল্যায়ন ছাড়াই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল বিচার নয়, বরং অবিচার।”
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এটিএম আজহারুল ইসলামকে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন।
এই রায়ের সঙ্গে ফাহমিদুল হকের মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।