যবিপ্রবি প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল মজিদ বলেছেন, “জ্ঞান ও দক্ষতা থাকলে বিশ্ব এক বিশ্বগ্রামে পরিণত হবে।” তিনি মনে করেন, কনফারেন্স থেকে জ্ঞান ও কর্মশালা থেকে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী হলে বিশ্বের সঙ্গে সহজে যুক্ত হওয়া সম্ভব।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অ্যান্ড হেলথ সাইন্স বিভাগের আয়োজনে “স্বাস্থ্য, আশা ও উচ্চশিক্ষা” শীর্ষক দিনব্যাপী কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
উপাচার্য বলেন, “নার্সিং পেশা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ও মর্যাদাপূর্ণ। এই পেশার আন্তর্জাতিক মর্যাদা তোমাদের হাত ধরে আরও সুদৃঢ় হবে বলে বিশ্বাস করি। বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় নার্সিং বিষয়ে যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণের মাধ্যমে পেশাটিকে আরও উন্নত করা সম্ভব। এজন্য গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। গবেষণার মাধ্যমে দেশ ও বিশ্ব দরবারে নার্সিংকে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “আমরা যদি দক্ষ নার্স তৈরি করতে পারি, তবে শুধু দেশের নয়—বিশ্বের চাহিদাও মেটানো যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে। তোমরা এ ধরনের কনফারেন্স ও কর্মশালা থেকে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করো। পাশাপাশি যদি তৃতীয় কোনো ভাষা আয়ত্ত করো, তাহলে এই বিশ্বকে বিশ্বগ্রামে পরিণত করতে পারবে। এজন্য পরিশ্রম করতে হবে, আর পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।”
কনফারেন্সে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন ও রিসার্চ ফেলো ড. এসএম ইয়াসির আরাফাত। তাঁরা থ্যালাসেমিয়া, আত্মহত্যা ও বৈশ্বিক শিক্ষার সঙ্গে সেতুবন্ধন বিষয়ে গবেষণাভিত্তিক তথ্য, অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিয়ে স্লাইড উপস্থাপনার মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যবিপ্রবির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কনফারেন্সের আহ্বায়ক ও নার্সিং অ্যান্ড হেলথ সাইন্স বিভাগের চেয়ারম্যান কুলসুমা আক্তার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের প্রভাষক শারমিন আক্তার সুমি, অঞ্জন কুমার রায়সহ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাবুব আলম, সোহেল বেপারী ও মনিজা আক্তার রিয়া।