Top 5 This Week

ডাক্তার-ওষুধের সংকট কাটছে না যবিপ্রবি মেডিকেলে

Spread the love

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

ডাক্তার ও ঔষধ সংকট যেন কাটছেই না যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ছয় হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আছে মাত্র তিনজন চিকিৎসক।

এছাড়াও রয়েছে প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে বিভিন্ন পরীক্ষার কেমিক্যালের সংকট। তবে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারলে স্থায়ী ডাক্তার পাওয়া সম্ভব হবে। এদিকে দ্রুত ডাক্তার নিয়োগ, প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ সরবরাহ ও ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, ডাক্তার কম থাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বেশিরভাগ সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ পাওয়া যায় না। তাছাড়া ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা চালু না থাকায় প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে শহরের হাসপাতাল গুলোতে যেতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত ডাক্তার নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সহ ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা চালু ও সকল ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাক্তার নিয়োগ দিলেও বেশিরভাগ ডাক্তার উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) বা অন্য চাকরি পেলে চলে যান৷ ফলে ডাক্তার সংকট তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও চিকিৎসা সেবা চালুর দাবি জানালেও স্বাভাবিক সময়েও চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা । চাকরির বয়সের সীমা বাড়িয়ে নিয়োগ দেওয়া হলে এ সংকট সমাধান করা সম্ভব হতে পারে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবির প্রধান চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল বলেন, মেডিকেল সেন্টারটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমি আছি। যখন ঔষধ সংকটের কারণে কোনো শিক্ষার্থী ফিরে যায় তখন নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের সময় ঔষধের টেন্ডার সংক্রান্ত ফাইলগুলো স্বাক্ষর করা সম্ভব না হওয়ায় একটা দীর্ঘ সময় ঔষধের কিছু সংকট ছিল। ঔষধের টেন্ডার হয়েছে, আশা করি এ সপ্তাহ থেকে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত ঔষধ সেবা পাবে। আমি গত দেড় মাস যাবৎ একটি এক্সিডেন্টে অসুস্থ থাকায় ঐ সময়ে দিনে একজন ও সন্ধ্যাকালীন একজন ডাক্তার সেবা দেন। যার ফলে আমরা আশানুরূপ সেবা দিতে পারিনি। এছাড়া নতুন চিকিৎসক নিয়োগ হওয়ার পর তাদের বিসিএস হয়ে গেলে তাঁরা চলে যাওয়ায় চিকিৎসক সংকটে পড়ে। আমরা এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish