বিডিটাইম ডেস্ক
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠানের পক্ষে অনড় অবস্থান নিয়েছে বিএনপি।
দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে এই বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একইসঙ্গে, নির্বাচন পরিচালনায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব মেনে নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিতে চায় দলটি।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সোমবার রাতে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত হন লন্ডন থেকে এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব্যাংকক থেকে। বৈঠকে মূলত অধ্যাপক ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রশ্নে আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাপানের টোকিওতে ‘নিক্কেই ফোরাম’-এর এক আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “সব দল নয়, বাংলাদেশে শুধু একটি দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।” তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপিসহ কয়েকটি দল প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বিএনপির নেতারা মনে করেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়, ফলে ইউনূসের ওই বক্তব্য অসত্য প্রমাণিত হয়েছে। তবে অধ্যাপক ইউনূস এখনো নির্বাচন আয়োজনের সময়সীমা নিয়ে আগের অবস্থানে রয়েছেন—ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে বিএনপির নেতারা বলেন, তারা এখনো শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করবে। তবে সরকার যদি এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে দলটি বিকল্প রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করবে।
এ ছাড়া বৈঠকে উচ্চ আদালতের রায় সত্ত্বেও ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে শপথ না করানোয় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি। নেতারা বলেন, অতীতের মতো বর্তমান সরকারও বিচার বিভাগীয় রায় অমান্য করে ফ্যাসিবাদী আচরণ করছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকিতে পড়বে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো আইনগত বাধা নেই।”