বিডিটাইম ডেস্ক
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ঝড় বয়ে গেছে। দাবি-দাওয়ার টানাপোড়েনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ফাউন্ডেশনের চতুর্থ বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
স্নিগ্ধ বলেন, “উচ্চশিক্ষায় মনোযোগ দিতেই আমি পদত্যাগ করেছি। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো আগ্রহ নেই।” যদিও আলোচনার পর্দার আড়ালে অনেকেই বলছেন, সাম্প্রতিক কার্যক্রম ও অভ্যন্তরীণ চাপই ছিল এই পদত্যাগের মূল চালিকাশক্তি।
ফাউন্ডেশনের নতুন সিইও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবর। একই সভায় গভর্নিং বডির ছয় সদস্যের একজন, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও পদত্যাগ করেন। তবে স্নিগ্ধকে গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে বহাল রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্নিগ্ধ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের একটি চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, “এখন পর্যন্ত অনুদানের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ পেয়েছি। কল সেন্টার চালু হয়েছে। পাঁচটি মামলা করা হয়েছে এবং শহীদ ও আহত পরিবারের জন্য ১২টি আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১০০ জন শহীদ পরিবারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে।”
মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বড় ভাই। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠনের সময় তিনি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। এরপর ২১ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম সাধারণ সম্পাদক হলে স্নিগ্ধ দায়িত্ব নেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার।
তবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারজিস আলমও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এবং এখন তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) হিসেবে কাজ করছেন।
ফাউন্ডেশনের অভ্যন্তরে নেতৃত্বে এভাবে একের পর এক পরিবর্তন ও পদত্যাগের ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে এর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কাঠামো নিয়ে।