বিডিটাইম ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উপসাগরীয় দেশ কাতারের রাজধানী দোহায় একাধিক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আকাশে ‘ক্ষেপণাস্ত্র সদৃশ বস্তু’র ঝলকও দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি। ঘটনার পর কাতারজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণ কাতারের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ নাকি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এক্সিওস নিউজের বরাত দিয়ে বিবিসি অ্যারাবিক দাবি করেছে, ইরান থেকে ছোড়া ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে।
ঘটনার পরপরই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সাময়িকভাবে দেশের আকাশসীমায় সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজধানীর কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি ‘আল উদেইদ’ অবস্থিত, যেখানে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। এটি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরওয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
এ ঘটনার আগে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করে। এক ই-মেইল বার্তায় জানানো হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে তারা যেন নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বের না হন। তবে এই সতর্কতার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সতর্কতার পরপরই কাতারে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদেরও একই ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এক বিবৃতিতে বলেন, কাতারে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক অঞ্চলের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সবার উচিত সরকারি ভ্রমণ নির্দেশনা অনুসরণ করা।
উল্লেখ্য, ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছিল—যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালায়, তাহলে তারা প্রতিশোধ নিতে দ্বিধা করবে না।