নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) খেলার মাঠ সংস্কারের নামে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে দাবি জানাতে শিক্ষার্থীরা শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে যান। পরে অফিস চলাকালীন সময়েও দপ্তরে কেউ না থাকায় দপ্তরটির প্রধান ফটকে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিভিন্নভাবে অতিরিক্তি পরিচালক মো. জিয়া উদ্দিন মন্ডলের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করলেও দপ্তরে আসেননি তিনি। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষর্থীরা দপ্তরে তালা লাগিয়ে প্রতিবাদ করে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- সংস্কারের নামে ৩ বছর যাওয়ার পরেও মাঠের কেন এই অবস্থা? এত টাকা বাজেট আসার পরেও মাঠ কেন সঠিকভাবে সংস্কার করা হলো না? একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ বছরে কেন কোন ফুটবল বা ক্রিকেট টুনামেন্ট হলোনা? আমরা কেন আমাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঠিক সময়ে পাই না? ও মাঠের এই অবস্থার জন্য প্রশাসনিক কে কে দায়ী তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে গিয়েছিলাম কিছু দাবি নিয়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয় শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে গিয়ে কাউকে পাই নাই। বিভিন্ন মাধ্যমে অতিরিক্ত পরিচালক জিয়া উদ্দিন মন্ডল স্যারকে কয়েকবার ফোন দেওয়ার পরেও ওনি দপ্তরে আসেননি। তাই আমরা দপ্তরে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আরো কঠিনতর পদক্ষেপ নিবো যদি না শারীরিক শিক্ষা বিভাগ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো রেসপন্স পাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল দলের খেলোয়াড় ও আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী সানোয়ার রাব্বি জানান, গত ৫ বছর ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট পাইনি। এই বিভাগের প্রধান মাঠ সংস্কারের ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে কোনো কাজই হয়নি বরং বালু, মাটি ফেলে মাঠের অবস্থা খেলার অনুপযোগী করে তুলেছে। গত আন্ত:অনুষদ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালও দেয়নি। প্রমীলা দলের খেলা শেষ হওয়ার পরও আজও কোনো প্রাইজ দেয়নি। তাহলে টুর্নামেন্ট করার বাজেট গেছে কোথায়? মাঠ সংস্কারের নামে নেওয়া এত টাকা গেছে কোথায়? গত ৫ বছর ধরে কেনো খেলা হয়নি? আর সব থেকে বড় কথা এই বিভাগ চালু আছে কিন্তু বিভাগে গিয়ে দাবি গুলা তুলবো এমন কোনো কর্মকর্তাকেই পাই নাই আমরা।
দপ্তরটির অতিরিক্ত পরিচালক মো. জিয়া উদ্দিন মন্ডলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরকে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক পদে বদলি করা হয়। তবে অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে থাকায় তিনি এখনো দায়িত্বে যোগদান করেননি বলে জানা গেছে।