বিডিটাইম ডেস্ক
নাশকতার পুরোনো মামলায় খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের নেত্রকোণা জেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২মে) বিকেলে শহরের কুড়পাড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলে সন্ধ্যার পর থেকেই খেলাফত আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা আনোয়ার হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ মে নেত্রকোণা শহরের ছোট বাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে একটি কর্মসূচি চলাকালে রাস্তা বন্ধ করে যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সোমবার সকালে একটি মামলা হয়। মামলার বাদী সদর উপজেলার আমলি কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও তাঁতীদল নেতা মো. সুমন মিয়া (৩৯)।
এ মামলায় নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগ, তার সহযোগী সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৫২ জনকে আসামি করা হয়। পাশাপাশি মামলায় আরও ৮০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মামলার এজাহারে খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ৯৩ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে বিকেলে শহরের কুড়পাড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সন্ধ্যার পর থেকে খেলাফত আন্দোলন ও খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা নেত্রকোণা মডেল থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানার প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়। রাত ১১টা পর্যন্ত থানা চত্বরের বাইরে অবস্থান করছিল বিক্ষোভকারীরা।
খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মোহাম্মদ আবদুর রহিম বলেন, “আনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে নাশকতার মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁর মুক্তি না দিলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।”
এ বিষয়ে নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, “সুমন মিয়া বাদী হয়ে থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছেন। মামলার ৯৩ নম্বর আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের ধরতেও অভিযান চলছে। থানা ঘেরাও করা বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার জন্য বোঝানো হচ্ছে।”