নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (নোবিপ্রবিসাস) আয়োজনে দিনব্যাপী ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ ২০২৫’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর সার্বিক সহযোগিতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

নোবিপ্রবিসাসের সভাপতি মো. ইমাম হোসেন মিয়াজির সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ (হানিফ মুরাদ) এবং আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুন নবী।

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বণিক বার্তার সাবেক ডেপুটি চিফ রিপোর্টার সাইফ সুজন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জোবায়ের চৌধুরী এবং দৈনিক যুগান্তরের রিপোর্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, “সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিবাচক দিকগুলো জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরছে এবং সমস্যা চিহ্নিত করে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তবে অনেক সময় কিছু সাংবাদিক না জেনে বা যাচাই না করে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিটি কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করি এবং আশা করি এই কর্মশালার মাধ্যমে অনেক উদীয়মান ও মেধাবী সাংবাদিক গড়ে উঠবে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “সাংবাদিকতা একটি দায়িত্বশীল পেশা। সত্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের ইতিবাচক পরিবর্তনে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখতে পারে। এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।”

উল্লেখ্য, কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হয়।