পবিপ্রবি প্রতিনিধি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) নানা আয়োজনে ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও ঘুড়ি উৎসবের মাধ্যমে নতুন বছরের সূচনা করা হয়।
চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে। নববর্ষকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাস সেজে ওঠে রঙিন সাজে। মুখোশ, প্ল্যাকার্ড, দেয়ালচিত্র ও শিল্পকর্মে ফুটে ওঠে বাঙালিয়ানার বৈচিত্র্য ও ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির বার্তা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহীদ জিয়া হল, দক্ষিণ গেট, পূর্ব গেট, একাডেমিক ভবন হয়ে শেষ হয় টিএসসি প্রাঙ্গণে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “পহেলা বৈশাখ কেবল নতুন বছরের সূচনা নয়, এটি বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, জাতিসত্তা ও সাম্যের প্রতীক। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমাদের শোভাযাত্রায় যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তা মানবিক মূল্যবোধেরই প্রতিচ্ছবি।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোঃ হাবিবুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আলোকতরী’র পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় ফ্ল্যাশ মোব। পরে আয়োজিত হয় পান্তা-ইলিশ ও ভর্তা উৎসব। পিঠা, পায়েশসহ নানা ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশিত হয় অতিথি ও শিক্ষার্থীদের জন্য।
ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ মাহফুজুর রহমান সবুজ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেন যথাক্রমে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ।
সার্বিক আয়োজনে সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সৃজনী বিদ্যানিকেতন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।