বাকৃবি প্রতিনিধি:
সরকারের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ‘প্রত্যয়’ পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক দাবি করে কালু ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ পালন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (১৫ মে) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন আমতলায় অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে এবং একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও বাকৃবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো সাইদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, আওয়ামীপন্থি শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস, বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সোনালি দলের সভাপতি কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এ.এস.এম গোলাম হাফিজ কেনেডি, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম, বাকৃবির সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় যদি সম্মান না থাকে তাহলে পদত্যাগ করে যে পেশায় সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা যায় এমন পেশা খুঁজে নিবো। আমরা অন্যদের সাথে নিজেদের তুলনা করবো না, আমরা নিজেদের জন্য চাইবো।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা দেশ ও জাতি গঠনের অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েই শিক্ষকতার মতো মহান এই পেশায় নিয়োজিত হয়েছি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম চলমান রাখতে সব ফান্ড সরকার কর্তৃক অনুদিত হয় না, অনেক ফান্ডই আমাদের জোগাড় করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারি পাসপোর্টের সুবিধা নেই এমনকি শিক্ষকদের বেতন তোলবার ক্ষেত্রেও পোহাতে হয় ভোগান্তি।
এসবের পর এই প্রত্যয় স্কিম কোনোরূপেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় সাধন করতে হবে। শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি ও আন্দোলন সমাবেশের পাশাপাশি পত্রিকায় কলাম লিখতে হবে এবং আমাদের দাবিগুলো বেশি বেশি প্রচার ও প্রচারণা করতে হবে।
উল্লেখ্য, সরকারের সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে বাকৃবির শিক্ষকেরা পূর্বে মানববন্ধন করেছেন। এছাড়াও গত মঙ্গলবার বাকৃবির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ মৌন মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন আমতলায় অবস্থান গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষকবৃন্দ। এরই ধারাবাহিকতায়, আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা চত্বরে অবস্থান নেন শিক্ষকেরা।