Top 5 This Week

প্রশান্তির আরেক নাম মিরিঞ্জা ও সুখিয়া ভ্যালি

Spread the love

লেখক: রাশেদ বিন গিয়াস

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা,সাথে লামা এগিয়ে যাচ্ছে পর্যটন শিল্পেও। পাহাড়,মেঘ ও মাতামুহুরি নদীর টানে দেশের বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে মানুষ ছুটে যাচ্ছে লামার মিরিঞ্জা ও সুখিয়া ভ্যালিতে,যেন ইট পাথরের শহরের ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করার প্রয়াস।

বান্ধরবান!বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি শহর। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শহর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত এই পার্বত্য অঞ্চলটিতে প্রতিবছরই দেশ বিদেশের বিভিন্ন পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে।বান্দরবানের নীলগিরি,নীলাচল, থানছি,দেবতাখুমসহ ক্রেওক্রাডং পাহাড়ের উচ্চতাকেও ডিঙ্গিয়ে পর্যটকরা যেন পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগে সর্বধা সরব।মেঘের পাহাড় ছুঁয়ে যাওয়া,পাহাড়ের মাঝবরাবর সরু পথ বেয়ে ঝর্ণার পানি সাংগু ও মাতামুহুরি নদীতে এসে পৌঁছানো,এইসব দৃশ্য দেখতেই হয়ত দূরদূরান্ত হতে মানুষ এসে ভিড় জমায় বান্ধরবনে।

একই প্রয়াসে,বান্দরবানের লামাও যেন পিছিয়ে নেই।বান্দরবান জেলার সবচেয়ে জনবহুল উপজেলা লামা,বান্দরবান জেলাসদর থেকে প্রায় ৯২ কি.মি. দূরে অবস্থিত।মূলত আহলামা রোয়া বা পাড়া থেকে লামা নামের উৎপত্তি হলেও এই নামকরণ নিয়ে রয়েছে নানা মতভেদ।পাহাড়ের অন্যতম সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে পরিচিত ‘মাতামুহুরি’ নদীর অবস্থানও লামা উপজেলায়।তাছাড়া,এই উপজেলায় রয়েছে লামা ও ইয়াংছা খাল।

শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লামা উপজেলা কিছুটা এগিয়ে থাকার পাশাপাশি বর্তমানে,লামাতে রিসোর্ট ও পর্যটকদের সংখ্যাও বেড়েছে।শুরুতে ছোটখাটো উদ্যোগে লামার মিরিঞ্জা নামক স্থানে, আকাশের নিচে ছোট তাঁবু এবং মাচাং ঘর দিয়ে ইকো রিসোর্ট তৈরি হয়,যেখানে স্থানীয় পর্যটকরাই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসতো।কিন্তু বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক নিউজ বা ফেইসবুকের পোস্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে মিরিঞ্জা ভ্যালি ও সুখিয়া ভ্যালির সৌন্দর্যের কথা।যার ফলাফলস্বরূপ লামাতে বৃদ্ধি পেয়েছে বাহিরের পর্যটকদের সংখ্যা।এইসব ভ্যালিতে অবস্থিত রিসোর্টে অবস্থান করে পর্যটকরা একই সাথে পাহাড়,মেঘ, মাতামুহুরী নদী ও শ্বেত পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ পারে।একই সাথে সাক্ষী হতে পারে মেঘ ও পাহাড়ের অপরূপ মিতালীর।তাছাড়া,কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে এই উপজেলার দূরত্ব শুধু মাত্র ৬৫ কি.মি দূরে হওয়ায় পর্যটকরা একই সাথে পাহাড় ও সমুদ্র ভ্রমণের উদ্যোগও গ্রহণ করে থাকে।

পূর্বের তুলনায়,পর্যটক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়,লামাতে বেড়েছে আরো ভালো এবং নিরাপদ রিসোর্ট এর চাহিদা।স্থানীয় রিসোর্ট ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যাই,দিন দিন পর্যটক বৃদ্ধির কারণে,পাহাড়ে পর্যটনশিল্পের ব্যাপক প্রসার হয়েছে,যারই ফলশ্রুতিতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে প্রচুর ভিড় লেগেই থাকে রিসোর্টগুলোতে।কখনো কখনো হিমশিম খেতে হয় এইসব রিসোর্ট মালিকদের পর্যাপ্ত পরিমাণে সুযোগ সুবিধা প্রদানে। তারা মনে করেন সরকার যদি অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা ও সুদৃষ্টি প্রদান করে তাহলে এ পর্যটন শিল্প কে বিশ্বমানের করা সম্ভব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish