রাবি প্রতিনিধি :
বিএসএফ কর্তৃক স্বর্ণা দাস ও শ্রী জয়ন্তকে নির্মমভাবে খুন এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কর্তৃক বাংলাদেশকে জঘন্য ও বেআইনী হুমকি প্রদানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাড়ে ১১ টায় এ মানববন্ধন করা হয়। এতে প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি হয়।
এই সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফেলানী থেকে স্বর্ণা বিচার কি হবে না, ফেলানী থেকে স্বর্ণা স্বর্ণা থেকে জয়ন্ত তারপর?, বাংলাদেশ কতকাল নিশ্চুপ থাকবে?, সীমান্তে আর কত বাংলাদেশি মারবে ভারত,আর নয় সীমান্ত হত্যা,বাংলাদেশকে হুমকি দিলে সাত বোন টিকবে না, গুলি কি চিনে কে হিন্দু কে মুসলমান?সীমান্ত হত্যার বিচার চাই, স্বর্ণা দাশ হিন্দু না মুসলিম বিভেদ কোথায়?,জয়ন্ত ও স্বর্ণা দাসের খুনের আন্তর্জাতিক বিচার চাই ‘ইত্যাদি সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা এই মানববন্ধনে উপস্থিত হয়।
মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড.ফরিদ উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের কাছে অনুরোধ জানাতে চাই যে তোমরা ‘ঢাকা না দিল্লী’ এই স্লোগানটি দিবা না। আমরা আমাদের রাজধানী কে দিল্লীর সাথে তুলনা করতে চাই না। আমরা আমাদের এই রাজধানীটি দীর্ঘ সংগ্রামের পর পেয়েছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, ২৪ এ এসে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের ছাত্ররা নিজেদের বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে নতুন করে স্বাধীন করেছে। কিন্তু আমরা দেখছি আমাদের বর্ডারে নিরিহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের এই হত্যার বিরুদ্ধে যে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে আমি মনে করি এটা যথেষ্ট নয়। এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরও তীব্রভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি যে বন্ধুত্ব সেটা দেশের সাথে, কোনো ব্যক্তির সাথে নয়। বন্ধুত্ব হবে জনগণের সাথে জনগণের। তাই নির্বিচারে বাংলাদেশের জনগণদের হত্যা করা কোনো বন্ধুত্বের পরিচয় নয়। বাংলাদেশ এখন আর ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনাধীন নয়। তাই আমি ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করবো, আপনারা বর্ডারে হত্যা বন্ধ করুন। নাহলে এর পরিণাম ভালো হবে না।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়ক সালাউদ্দীন আম্মার বলেন,আমাদের এতদিন বুঝানো হয়েছিল তারা বন্ধু রাষ্ট্র।তাদেরকে আমরা হাজার হাজার টন ইলিশ পাঠিয়েছি বিনিময়ে তারা উপহারস্বরুপ আমাদেরকে স্বর্না দাস ও জয়ন্ত কে উপহার দিয়েছে।
আমরা স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই ভারত হোক বা অন্য দেশ হোক, ব্যক্তিকেন্দ্রিক বন্ধুত্ব আমরা চাই না, হাসিনার সাথে মোদির বন্ধু্ত্ব আমরা চাই না। বন্ধুত্ব হোক বাংলাদেশের সাথে ভারতের, বন্ধুত্ব হোক বাংলাদেশের সাথে চীন,বন্ধুত্ব হোক বাংলাদেশের সাথে নেপালের।কোন ব্যক্তিকেন্দ্রিক বন্ধুত্ব আর চলবে না। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এ ধরনের বন্ধুত্ব আমরা মেনে নেবো না।