Top 5 This Week

বগুড়ায় কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত সাড়ে ৭ লাখ; চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত

বিডিটাইম ডেস্ক

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে বগুড়ায় কোরবানিযোগ্য পশুর বিপুল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাট ও খামার মিলিয়ে এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি পশু, যেখানে চাহিদা ৭ লাখ ৯ হাজার ১০টি। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৮ হাজার ৪৩২টি পশু।

বগুড়ার মহাস্থানগড়সহ বিভিন্ন হাটে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে কোরবানির পশুর বেচাকেনা। হাটে বিক্রি হচ্ছে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ৮ লাখ টাকা দামের গরু-ছাগল। সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে মাঝারি ও ছোট আকারের, অর্থাৎ লাখ টাকার মধ্যে দামের গরুর প্রতি।

মহাস্থানগড় হাট ঘুরে দেখা গেছে, কেউ গরু দেখছেন, কেউ দরদাম করছেন। ক্রেতার চোখে সেরা পশুটির খোঁজ, আর বিক্রেতার মুখে আশা জাগানো হাসি। কেউ বলছেন দাম চড়া, কেউ আবার বলছেন সহনীয়। হাটগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেলেও এখনো বেচাকেনা পুরো মাত্রায় জমেনি, কারণ কোরবানির ঈদের সময় রয়েছে আরও এক সপ্তাহ।

জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিছুর রহমান জানান, এ বছর দেশের বাইরে থেকে পশু আমদানি না থাকায় স্থানীয় খামারিদের জন্য এটি হতে পারে একটি লাভজনক বছর। তিনি বলেন, “জেলায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার পশু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে, যা খামারিদের জন্য বড় অর্জন হবে।”

জেলায় ৫১ হাজার ১৪৬ জন খামারি কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছেন। তারা অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিজিয়ান, ভারতীয় শাহীওয়াল, নেপালের গীর, সিন্ধি, ভুট্টি ও দেশীয় জাতের গরু-ছাগল প্রাকৃতিক খাদ্যে পালন করে হাটে তুলেছেন ভালো দামের আশায়। তবে খামারিরা জানান, গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পশু পালনেও খরচ বেড়েছে।

পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক দল। নকল টাকা ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

হাটে উপস্থিত একাধিক বিক্রেতা জানান, “পশুর সরবরাহ থাকলেও বেচাকেনা এখনো জমেনি। অনেক ক্রেতাই এসে দরদাম করে চলে যাচ্ছেন।” তবে সবাই আশাবাদী, ঈদের দিন ঘনিয়ে এলে বিক্রি বাড়বে এবং দামের সঙ্গে চাহিদার ভারসাম্য হলে খামারিরা লাভবান হবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Popular Articles

en_USEnglish