ববি প্রতিনিধি
মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতি অর্জন করে তার শ্রেষ্ঠতম অর্জন ‘বিজয়’। এদিন বাঙালির আত্মপরিচয় লাভের দিন।
বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এ বছর বিজয় দিবসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে একটি নতুন অনুষঙ্গ।
গত জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে শহীদরাও ছাত্র-জনতার অঙ্গাঙ্গিভাবে থাকছেন এবারের বিজয় দিবসে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন গণতান্ত্রিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন এক মাতৃভূমি গড়ার প্রত্যাশায় এবার বিজয় দিবস উদযাপন করবে দেশের আপামর মানুষ।
প্রতি বছর বিজয় দিবসে রঙ্গিন আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয় পুরো ক্যাম্পাস।কিন্তুু এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন আলোকসজ্জার ব্যাবস্থা করা হয়নি।এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান বিজয় দিবসে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জার ব্যাবস্থা করা হয়।সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবসে আলোকসজ্জার ব্যাবস্থা করা হয়নি এটা খুবই দুঃখজনক ও প্রশাসনের উদাসীনতা।
সিয়াম রশিদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,এবার বিজয়ের আলোয় আলোকিত হয় নি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।এগুলো স্রেফ প্রশাসনের গাফিলতি অন্য কিছু না। মুক্তমঞ্চ বাশ দিয়ে দাড় করিয়ে রাখছে, যেকোনো প্রোগ্রামে যে বাহিরের মানুষ গুলো আসে, সম্মান যায় না?
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,প্রতিবছর আলোকসজ্জার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা পাঠানো হয়।কিন্তুু এবছর কেন্দ্রীয়ভাবে বিজয় দিবস উদযাপন নির্দেশনায় কোন আলোকসজ্জার কথা বলা হয়নি।
এছাড়াও এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শুচিতা শরমিনকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।