বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে মনোনীত না করায় ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. আলী আযম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৬মে) বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষক। তবে ঘটনা অস্বীকার করেছে ্িবএনপি নেতা আলী আযম চৌধুরি।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. নজির আহমেদ জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলী আযম বিদ্যালয়ে এসে প্রথমে শিক্ষকদের কক্ষে বসেন। পরে তিনি নজির আহমেদকে প্রধান শিক্ষকের রুমে ডেকে নিয়ে কমিটির সভাপতি পদে তাঁকে মনোনীত না করার কারণ জানতে চান। শিক্ষক জানান, “আমি তাকে জানাই, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত সনদ নিয়ে জেলা প্রশাসক আপত্তি জানিয়েছেন। তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা ডায়েরি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন এবং আরও মারধরের চেষ্টা করলে আমি তা হাত দিয়ে ঠেকাই। পরে তিনি প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।”
ঘটনার বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মাছুম বিল্লাহ বলেন, “আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।”
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. আলী আযম চৌধুরি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সত্যিই স্কুলে গিয়েছিলাম এবং শিক্ষকদের সঙ্গে চা-নাশতা করেছি। তবে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি ২০১০ সালে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিবাগ ক্যাম্পাস থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছি। আমার সার্টিফিকেট বাতিল হয়নি এবং এটি দিয়ে বিসিএস পরীক্ষাতেও অংশ নেওয়া যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুম আলাদা কোনো কক্ষ নয়, একটি পার্টিশন দেওয়া জায়গা মাত্র। সেখানে আরও শিক্ষক ছিলেন, এমন কিছু ঘটলে তারা নিশ্চয়ই দেখতেন বা শুনতেন।”
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, “আমরা এমন কোনো ঘটনা দেখিনি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “এমন কোনো বিষয় এখনো জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।”