বিডিটাইম ডেস্ক
ফেসবুকে পরিচয়ের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকায় কর্মরত এক নারী। অভিযুক্ত এই পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে ভৈরব সার্কেলের দায়িত্বে আছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে এজাহার রেকর্ড করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের জুনে ‘পাত্র-পাত্রী দুজনেই হবে ঢাবিয়ান’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে পাত্রী চেয়ে পোস্ট দেন নাজমুস সাকিব। সেই সূত্র ধরে তাদের পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাদী জানান, বিবাদী তার আগের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে তাকে বিয়ের আশ্বাস দেন এবং একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল রাতে নিজের বাসায় নিয়ে গিয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন বাদী। পরে তিনি জানতে পারেন, নাজমুস সাকিব এরই মধ্যে বিবাহিত এবং সংসার করছেন। বিষয়টি জানার পর প্রতিবাদ করলে তিনি ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে এএসপি নাজমুস সাকিব বলেন, “ওই নারীর সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি আইনি পথে লড়াই করব।”
তিনি দাবি করেন, “আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করতেই এই মামলা করা হয়েছে। তদন্তেই সব পরিষ্কার হবে।”