বিডিটাইম ডেস্ক
ভারতের আকাশপথে আবারও কালো ছায়া। ২০২৫ সালের ১২ জুন, আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এ১৭১ উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়েছে।
বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এর মধ্য দিয়ে ভারতের বিমান চলাচলের ইতিহাসে আরেকটি ভয়াবহ অধ্যায় যুক্ত হলো।
এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্মৃতিতে ফিরে এল ভারতের বিমান ইতিহাসের আরও অনেক ভয়াল অধ্যায়। কখনো যান্ত্রিক ত্রুটি, কখনো আবহাওয়াজনিত সমস্যা, মাঝেমধ্যে নাশকতা বা আকাশে সংঘর্ষ—বহু বছর ধরেই ভারত নানা রকম বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী।
১৯৬৬ সালে সুইজারল্যান্ডের মন্ট ব্ল্যাঙ্কে এয়ার ইন্ডিয়ার ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ নামের ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান ১১৭ জন। ১৯৮৫ সালে কানিষ্কা বিস্ফোরণে আকাশেই উড়ে যায় ৩২৯ প্রাণ। ১৯৯৬ সালের চরখি দাদরির আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষে নিঃশেষ হয় ৩৪৯ জনের জীবন।
২০১০ সালের ম্যাঙ্গালুরু আর ২০২০ সালের কোজিকোড দুর্ঘটনাও বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছিল। এবার ২০২৫ সালে আহমেদাবাদ-লন্ডন ফ্লাইটের বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা সেই শঙ্কাকেই যেন আবারও জাগিয়ে দিল।
ভারতের বিমান চলাচলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে এখন নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, তবে এর সঠিক কারণ জানতে সময় লাগবে। এয়ার ইন্ডিয়া ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
তবে এই দুর্ঘটনা একদিকে যেমন বহু পরিবারকে শোকস্তব্ধ করে দিয়েছে, অন্যদিকে বিমানযাত্রায় সাধারণ মানুষের আস্থার উপরও বড়সড় আঘাত হেনেছে। ভারতের আকাশে আবারও নেমে এসেছে শোকের ছায়া।