ভোলার বাস ও সিএনজিচালকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে জেলার পাঁচটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
রোববার (৪ মে) বিকেল পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় দীর্ঘ যানজটকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি, হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরপরই বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বৈঠক করে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।
এ সময় ভোলার মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বাসশ্রমিকেরা। পরে অটোরিকশায় যাত্রী পারাপার শুরু হলে উত্তেজিত বাসশ্রমিকেরা কয়েকটি সিএনজিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, বাসশ্রমিকেরা ধর্মঘট ডাকার পর যাত্রী পরিবহণ করায় চারটি সিএনজির মধ্যে তিনটি ভাঙচুর এবং একটিতে আগুন দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চালকেরা লালমোহন এলাকায় দুটি বাস আটকে রাখেন, তবে তারা কোনো ভাঙচুর করেননি।
অন্যদিকে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবে জেলার পাঁচটি স্থানে সিএনজিচালকেরা বাসশ্রমিকদের মারধর করেছেন এবং দুটি বাস ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদেই তাঁরা ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোলা-চরফ্যাশন মহাসড়কের জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় সেতুর মুখে নিয়মিতভাবে ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, ফলে প্রায়ই যানজট দেখা দেয়। আজকের সংঘর্ষও এরই ধারাবাহিকতায় ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল একই দাবিতে ধর্মঘট ডাকেন বাসশ্রমিকরা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরদিন তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে আজকের সংঘর্ষে উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ায় ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।