যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ জুন) যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম।
এই মামলার অপর দুই আসামি—যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত) আব্দুর রউফ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আব্দুর রউফ। নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ছিলেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার এবং সদস্য ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।
ওই বছর ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও কাউকে পাস করানো হয়নি। এরপরও কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও আব্দুর রউফকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় এবং উপাচার্য অধ্যাপক সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে নিয়োগ দেন।
আব্দুর রউফ পরবর্তীতে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক এবং ২০২১ সালে উপপরিচালক পদে পদোন্নতি পান। এই অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে তিনি ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
২০২৩ সালের ২১ আগস্ট দুদকের যশোর অফিসের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে দুদক সম্প্রতি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়, যাতে তিনজনকেই অভিযুক্ত করা হয়।