রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা এবং চার দফা দাবি পূরণের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়করা।
সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টায় রাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবিগুলো তুলে ধরেন।
দাবিসমূহ:
১. আগামী ৩ দিনের মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ২৮ এপ্রিল ২০২৫ সালের পরে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, তাদের তালিকাভুক্ত করা যাবে না।
২. রাকসু নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সূচি অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে।
৩. আগামী ৭ দিনের মধ্যে সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে রাকসুর নির্বাচনী তফসিল প্রকাশ করতে হবে।
৪. ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাইরের মোটরসাইকেল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং বহিরাগতদের প্রবেশ সীমিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের কার্যক্রম ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নবিদ্ধ। ঘোষিত রোডম্যাপ থাকলেও তা বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। ১৩ এপ্রিল নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশের কথা থাকলেও তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সর্বশেষ ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ থাকলেও তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই তারা মনে করেন।
তাদের দাবি, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত যাদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব রয়েছে, শুধুমাত্র তাদেরই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অন্যথায় এটি হবে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা এবং আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মুখোমুখি অবস্থানের কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, “আমরা সরাসরি বলতে চাই না, তবে কেউ যদি বাধা না দিত, তাহলে ২৮ এপ্রিলেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তারিখ ঘোষণা করলেও নানা অজুহাতে তালিকা প্রকাশ করেনি। এমনকি এতদিন পরও নির্বাচন কমিশনের একটি মিটিং পর্যন্ত হয়নি। এটা থেকেই বোঝা যায় প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাব আছে।”
রুয়া (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাচন বন্ধের প্রভাব রাকসু নির্বাচনে পড়বে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “রুয়া হচ্ছে সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন আর রাকসু বর্তমান শিক্ষার্থীদের। তবে রুয়া নির্বাচন যেভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে, তেমনটাই রাকসুর ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে।”