বিডিটাইম ডেস্ক
কুমিল্লার লাকসামে প্রেমিককে খুঁজতে এসে এক তরুণী (২০) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অটোরিকশাচালকসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী তরুণী পাশের মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি লাকসামের আবুল খায়ের ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন।
লাকসাম থানার ওসি নাজনীন সুলতানা জানান, ৮ জুন সন্ধ্যায় তরুণী তার কথিত প্রেমিককে খুঁজতে লাকসাম বাজারে আসেন। সেখানে তার সঙ্গে অটোরিকশাচালক এনায়েত রহমান ওরফে সাক্কুর পরিচয় হয়। এনায়েত তাকে প্রেমিককে খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পেয়ে রাত ১০টার দিকে তরুণী লাকসাম রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ পাশে একটি প্ল্যাটফর্মে বসে থাকেন।
এ সময় কিছু বখাটে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করলে এনায়েত নিজেকে তার স্বামী পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বখাটেরা দুজনকেই স্টেশনে বসিয়ে রাখে। একপর্যায়ে এনায়েত তার স্ত্রী নয় দাবি করে তরুণীকে বখাটেদের হাতে তুলে দেন। পরে মারধর করে তাকে স্টেশন সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে অভিযুক্ত এনায়েতের সহায়তায় খোরশেদ, সাগর ও স্বপন মিলে তাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর তরুণী কোনোভাবে পালিয়ে তার কর্মস্থলে পৌঁছান এবং পরে পরিবারের সহায়তায় থানায় অভিযোগ জানান।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে অভিযুক্ত এনায়েত, সাগর ও স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ভুক্তভোগীর মামাতো ভাই বাদী হয়ে মঙ্গলবার লাকসাম থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণীকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি নাজনীন সুলতানা বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আমরা বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনবো।”