বিডিটাইম ডেস্ক
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা পরিচয়ধারী রিয়াদ পণ্ডিতের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম লিটন মঠবাড়িয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি এবং ‘আরাফাত হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’-এর মালিক।
লিটন জানান, পৌর শহরের পশু হাসপাতালের পেছনে তিনি প্রায় দেড় যুগ ধরে হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছেন। গত শনিবার (১৮ মে) রিয়াদ পণ্ডিত তাঁকে ফোন করে নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। লিটন বলেন, “আমি ফোনটি লাউডস্পিকারে চালিয়ে আশপাশের কয়েকজনকে শুনিয়েছি।”
এরপর রবিবার বিকেলে রিয়াদ পণ্ডিতসহ ৭-৮ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি লিটনের মালিকানাধীন হাসপাতালে এসে চাঁদার জন্য ম্যানেজারের কাছে চাপ প্রয়োগ করে। তারা মাসিক ২০ হাজার টাকা অথবা এককালীন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তারা রিসেপশনের কাচ ভাঙচুর করে এবং ম্যানেজারকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ঘটনার পর রফিকুল ইসলাম লিটন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বিষয়টি জানান এবং পরে মঠবাড়িয়া থানায় রিয়াদসহ অজ্ঞাত ৮ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ করেন।
মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আল আমীন নাজাত বলেন, “রিয়াদ পণ্ডিত ছাত্রদলে কোনো পদে নেই। আমি লিটনকে বলেছি প্রশাসনের সাহায্য নিতে।”
অভিযুক্ত রিয়াদ পণ্ডিত ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। একবার তিনি ফোনালাপের কথা স্বীকার করেন, পরে বলেন হাসপাতালে যাননি। আবার কখনো বলেন, গিয়েছিলেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”