বুটেক্স প্রতিনিধি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ‘শেখ হাসিনা’ হল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছয়টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯১তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. রাশেদা বেগম দিনা স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শেখ হাসিনা’ হলের নাম পরিবর্তন করে ‘বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম হল’ করা হয়েছে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রস্তাবিত নামগুলো বিবেচনায় না নেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে হলটির নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা ব্যাপক আলোড়ন তোলে এবং শেষ পর্যন্ত প্রশাসন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
একইদিন প্রকাশিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে বুটেক্সের অধিভুক্ত ছয়টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন নামগুলো হলো—
টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কালিহাতি, টাঙ্গাইল যার পূর্বের নাম বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কালিহাতি, টাঙ্গাইল
ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহ যার পূর্বের নাম শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ
বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল যার পূর্বের নাম শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল
রংপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পীরগঞ্জ, রংপুর যার পূর্বের নাম ড. এম.এ. ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পীরগঞ্জ, রংপুর।
এরপর গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জ যার পূর্বের নাম: শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, গোপালগঞ্জ।
সর্বশেষ জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেলান্দহ, জামালপুর যার পূর্বের নাম শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেলান্দহ, জামালপুর।
প্রসঙ্গত, অধিভুক্ত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের কলেজগুলোর নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ৫ আগস্টের পর তারা একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাদের দাবি বাস্তবায়িত হলো।