সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন স্কিমে একতরফাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ এবং পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (১৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়৷ মানববন্ধনে সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে একতরফা, বৈষম্যমূলক ও চক্রান্তমূলক দাবি করে বক্তারা বলেন, এটি একটি ঘৃণ্য চক্রান্ত। শিক্ষদেরকে সরকারের প্রতিপক্ষ করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। তাই আজকে আমরা এই মানববন্ধন থেকে জোড়ালো দাবি জানাই অতি দ্রুত এই একতরফা, বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিল করা হোক। এসময় বক্তারা তাদের দাবি না মানলে ক্লাস পরিক্ষা বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারও দেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা বলেন, এই সার্বজনীন পেনশন স্কিম বৈষম্যমূলক ।যা পরিকল্পিতভাবে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে । যেটি জাতিকে মেধাশূন্য করার একটি চক্রান্ত । তাই অবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন বাতিল করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
সার্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিম সবার জন্য প্রযোজ্য না হয়ে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে বৈষম্যমূলক। দেশের শিক্ষা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষগণ। যদি এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর করা হয় ,তাহলে শিক্ষকতা পেশায় নতুনেরা আগ্রহ হারাবে। শিক্ষা গবেষণায় পিছিয়ে পড়বে দেশ। তাই শিক্ষকদের মর্যাদা রাখা ও শিক্ষার সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে এই প্রজ্ঞাপন বাতিল করার জোর দাবি জানাচ্ছি ।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব হোসেন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, স্থানীয় সরকার ও নগর পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. রাকিবুল ইসলামসহ অন্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট ও নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ,বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ,হল প্রভোস্টসহ আরও অন্যান্য শিক্ষকমহোদয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক পেনশন সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ‘সকল স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন ১ জুলাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করিবেন, তাহাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল।’