বিডিটাইম ডেস্ক
সাভারে গ্যারেজকর্মী শাহীন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি হিসেবে চিহ্নিত মেহেদী হাসানকে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতাছিম বিল্লাহ।
র্যাব-৪ এর একটি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টঙ্গী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন মেহেদী।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংক কলোনি এলাকায় রং মিস্ত্রি শাহীনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যান মেহেদী হাসান। ঘটনার পর নিহত শাহীনের স্ত্রী মারিয়া আক্তার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ছায়া তদন্তে নামে র্যাব-৪। তদন্তে উঠে আসে, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী ছিলেন মেহেদী। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাদা গেঞ্জি পরা এক ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে পালিয়ে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে তাকে শনাক্ত করা হয় মেহেদী হাসান হিসেবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শাহীন ব্যাংক কলোনি এলাকার বরুন গ্যারেজে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। সেই গ্যারেজে প্রায়ই মাদক ও জুয়ার আসর বসতো, যেখানে নিয়মিত যেতেন মেহেদী হাসান। একটি জুয়ার আসরেই শাহীনের সঙ্গে কথাকাটাকাটির জেরে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় শাহীনকে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মেহেদী হাসান আগে থেকেই অস্ত্র ব্যবহার করে আসছেন। ১৯৯২ সালে সাভারের বিরুলিয়ার এক মাঠে আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি। তবে ক্ষমতা ও কৌশলের মাধ্যমে সেসময় মামলার আপস করে মুক্তি পান মেহেদী।
গ্রেফতার মেহেদীর ভাই জাহিদ হাসান জানান, র্যাব তার ভাইকে টঙ্গীর তারগাছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। তিনি বলেন, “আমার ভাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সদস্য ও সাভার প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। দৈনিক আল মোজাদ্দেদ পত্রিকায় সাংবাদিকতাও করতেন। তবে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিনা, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত না।”
এসআই মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, “মেহেদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার দুপুরে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হবে।”