সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব নিতে গড়িমসির কারণে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ কয়েক ঘণ্টা ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পড়ে ছিল।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে মৌচাক বাসস্ট্যান্ড এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে মহাসড়কের পাশে অচেতন অবস্থায় একজন ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা পুলিশে খবর দেয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে থানা ও হাইওয়ে পুলিশের পৃথক দুটি টিম। কিন্তু কোন পক্ষ মরদেহ উদ্ধার করবে, তা নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে শুরু হয় ঠেলাঠেলি ও দায় এড়ানোর পালা।
হাইওয়ে পুলিশের দাবি ছিল, এটি সড়ক দুর্ঘটনা নয়, তাই থানা পুলিশ মরদেহ বুঝে নেবে। অন্যদিকে, থানা পুলিশের ভাষ্য ছিল, মরদেহটি সড়ক দুর্ঘটনার কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পর তারা বুঝে নেবে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে মরদেহটি পড়ে থাকলেও কেউ উদ্ধার করেনি।
পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং এক প্রত্যক্ষদর্শীর সহযোগিতায় জানা যায়, এটি সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। এরপর দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন জানান, “মরদেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শুরুতে সন্দেহ ছিল এটি দুর্ঘটনা নয়। থানা পুলিশও মরদেহ বুঝে নিতে গড়িমসি করছিল। পরে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া যায় এটি সড়ক দুর্ঘটনা।”
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, “মরদেহের মাথায় দাগ থাকায় শুরুতে বিষয়টি পরিষ্কার ছিল না। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে নিশ্চিত হওয়া যায় এটি সড়ক দুর্ঘটনা।”
এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের দুই ইউনিটের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ও দায়িত্বহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।