সিভাসু প্রতিনিধি:
শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত এবং র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ১৯ শিক্ষার্থীকে আর্থিক জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে হল থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, গত ২৯ জুন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ১৩তম সভায় শৃঙ্খলাভঙ্গের মাত্রা অনুযায়ী এসব শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মির্জা মাহফুজ হাসান আকাশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে মো. জাবেরকে এক বছরের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, এবং রশিদ শাবাব শুভ, তানজিম সিয়াম ইকবাল ও মেহেদী হাসানকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া, ফিশারিজ অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম শিহাবকে স্থায়ীভাবে হল থেকে বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, সাজেদ-উল-ইসলাম সিফাতকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, শাহেদুল ইসলামকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
একই ঘটনায় যুক্ত আরও ১০ শিক্ষার্থী—সিফাত উল্ল্যাহ জিলান, মোস্তাকিম হোসেন রিয়াদ, আসিফ আল হাসান, ইলিয়াস আল জাবের, তাইদুল ইসলাম তপু, আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, নাজমুস সাদাত তৌহিদ, আবুল হাসান ফাহাত, শাহরুখ খান ও বেলাল হোসেনকে ছয় মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ফিশারিজ অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের রিয়াজুল জান্নাহ ওয়াসীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আজীবনের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার দুটি ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী অভিষেক নন্দী এবং অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম রানার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর কোনো উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়।