ইবি প্রতিনিধি:
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে কুষ্টিয়ার বিত্তিপাড়া এলাকায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে তিনি নিহত হন। তার বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায়।
জানা যায়, স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষ করে তিনি ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। রাতের ট্রেনে জয়পুরহাট থেকে পোড়াদহ স্টেশনে নেমে কুষ্টিয়ায় পৌঁছান রাশেদ। সেখান থেকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে ইবি ক্যাম্পাসের দিকে যাত্রা করেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি বাসের ইঞ্জিন কাভারে বসা ছিলেন। বিত্তিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বাসটির সঙ্গে একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে রাশেদ গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান।
তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সহপাঠীরা জানান, দুর্ঘটনায় রাশেদের মুখমণ্ডল গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু ঘটে।
রাশেদের সহপাঠী ও একই হলের শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করে লেখেন,
“আমার বন্ধু রাশেদুল ইসলাম আর নাই। একই হলে পাশাপাশি ব্লকে থাকার কারণে মাঝেমধ্যে দেখা হতো। দেখলেই লম্বা করে একটা হাসি দিয়ে বলত, ‘বন্ধু, কী অবস্থা?’ জীবন এক নাটকের নাম। মাস্টার্স পরীক্ষা শেষ, ফলের অপেক্ষা—but সিদ্ধান্ত উপরওয়ালার। আল্লাহ তাকে মাফ করুন এবং তার পরিবারকে ধৈর্য দান করুন।”
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজামান হাসপাতালে ছুটে যান। তিনি জানান,
“আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে উপস্থিত হই। বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকও ছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।”
এদিকে দুর্ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।